ছবি : সংগৃহীত
২০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিরাপদ আমবাগান পরিদর্শন করেছেন।
গত মাসের বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কসবা ইউনিয়নের কেন্দবোনা এলাকায় রুহুল আমিনের আম বাগান তারা পরিদর্শন করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আম স্বাদে ও গন্ধে অনন্য এবং বিদেশেও এর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিদেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আম রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে, অথচ এখন মাত্র ৩ হাজার টন আম রপ্তানি করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, আম রপ্তানির পেছনে প্রধান বাধা হলো এর উৎপাদনে ভালো কৃষি পদ্ধতির অভাব।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেশে-বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার জন্য রাষ্ট্রদূতরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাগান ঘুরে এই রাষ্ট্রদূতরা অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন তাদের দেশে রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করবেন। গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিসের (জিএপি) মাধ্যমে যদি আম উৎপাদন না করা যায় তাহলে বিদেশে আম রপ্তানি করা সম্ভব না।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, বাংলাদেশ আম উৎপাদনে ভালো কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রদূতরা আজ নিরাপদ আম উৎপাদন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছেন, যা দেশের আম রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং ব্রুনাই দারুসসালাম, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, স্পেন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
এছাড়া জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি এই সফরে যোগ দেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি দেশে আম রপ্তানি করছে। ২০২১ সালে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আম রপ্তানি হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ১,৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩১০০ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।
বাংলাবার্তা/এআর