ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। পার্কটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নির্মাণাধীন এ পার্ককে পরিদর্শনে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বাণিজ্য প্রতিনিধি নালিনি তাভিসিনসহ ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শন শেষে নালিনি তাভিসিন বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্ব মানের উন্নীত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে কক্সবাজারে অবস্থিত এই সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। খুব দ্রুতই পার্কটি বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। নালিনি তাভিসিনের নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধিদলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাই ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নালিনি তাভিসিন বলেন, এই সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই ভালো স্থানে। এর এক পাশে বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি, অপরদিকে সবুজবেষ্টিত পাহাড়। ফলে ভবিষ্যতে বিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু স্থান হবে এই পর্যটন স্থান। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে পর্যটন খাতও এর মাধ্যমে অনেক বিকশিত হবে।
এ সময় তিনি থাইল্যান্ডের পর্যটন অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন এবং এ ক্ষেত্রে থাই সরকার বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে জানান ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরকালে এ দেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর ওই সফরের রেশ ধরেই ব্যবসায়ীদের এ সফরের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার বারী জানান, এই পার্ক নির্মাণে ২৮টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার।
এ সময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের পাশাপাশি নাফ ট্যুরিজম পার্ক ও সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্কে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাবার্তা/এআর