ছবি : সংগৃহীত
হঠাৎ করে বিশ্বব্যাপী এমপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সহযোগিতায় বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাবার্তাকে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
জানা গেছে, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে উপসর্গ যাত্রীদের শনাক্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবং সেই সাথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্য ডেস্ক চালু রাখা হয়েছে। আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। উপসর্গযুক্ত যাত্রী শনাক্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (আইডিএইচ) এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এমপক্সের লক্ষণ
১। রোগীর শরীরে জ্বর থাকবে।
২। মাথা ব্যথা অনুভব হবে।
৩। পিঠ ও শরীর ব্যথা হবে।
৪। মাংসপেশীতে টান ও হাড়ে ব্যথা অনুভব হবে।
৫। শারীরিকভাবে রোগী দুর্বল অনুভব করবে।
৬। এমপক্সে আক্রান্ত রোগীর গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ হলো শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া।
এমপক্স রোগ ছড়ানোর প্রক্রিয়া
১। আক্রান্ত রোগী শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।
২। আক্রান্ত রোগীর ত্বকের সংস্পর্শে।
৩। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিস থেকে।
৪। আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়া খাবার খেলে।
৫। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে।
সভায় উপসস্থিত ছিলেন অপারেশন্স এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান, শেখ দাউদ আদনান, ডা. নাসির আহমেদ খান, ডাঃ এএসএম আলমগীর, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, ডব্লিউএইচও, চেয়ারম্যান দিলারা আহমেদ, এইচএসআইএ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাঃ শামীমা এবং এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা।
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের আগমনের ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দিলে ১০৬৫৫ নম্বরে কল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর