ছবি : সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিং ও শারীরিক নির্যাতনের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ১৩তম সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (০২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, র্যাগিংয়ের দায়ে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল ও সাগর প্রামাণিক। আরেকজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদ্দাসির খান কাফি।
বহিষ্কৃত তিনজনকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা তিনজনই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী।
এছাড়াও দুইজনকে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে জড়ালে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্ক বার্তা পাওয়া দুইজন হলো- শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নাসিম আহমেদ মাসুম ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিসনো আল আসনাওয়ীকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতভর ইবির লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষ তথা গণরুমে এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র্যাগিং দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগে বলা হয়, ওই শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রড দিয়ে মারধর করা। এ সময় তাকে পর্নোগ্রাফি দেখানোসহ টেবিলের ওপর কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখা হয়। তাকে ভাষায় গালাগালও করা হয়। তা ছাড়া নাকে খত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
বাংলাবার্তা/এআর