কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সভা
কিশোরগঞ্জ : শুধু কিশোরগঞ্জ না আমাদের বাংলাদেশ আজকে কিম জং উনের যুগে আছে। আমি ছোট বেলায় একটি সিনেমা দেখেছিলাম আপনারা অনেকেই দেখেছেন হীরক রাজার দেশে। আমরা আজকে হীরক রাণীর দেশে আছি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা এই জুলুম সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন করেছি। জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। বিভিন্ন সময়ে জনগণের অধিকার আদায়ে দাবি উত্থাপন করেছি। সর্ব শেষ গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণের যে দাবি তা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জনগণ যাকে ভোট দিবে তারাই সরকার গঠন করবে। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। সরকার সেই দাবির আলোচনা তো করছেই না, সেই দাবির আন্দোলনকে কটাক্ষ করছে। তারা এই দাবি ও আন্দোলনকে নিয়ে অসংলগ্ন কথা বলছে।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন কথা বলছেন। তিনি সম্মানিত ব্যক্তি, তাকে সম্মান করি। তিনি বিএনপির আন্দোলনকে বলেন ভুয়া। কালকে তিনি বললেন বিএনপির গণপদযাত্রা নাকি বিএনপির মরণযাত্রা। আসলে যারা ভুয়া তারাই অন্যকে ভুয়া বলতে পারে। ভুয়া আন্দোলন নাকি কী আন্দোলন সেটা সময়েই বলে দিবে। ইনশাআল্লাহ সামনে আপনারা দেখবেন। বিএনপির মরণযাত্রা নয় এই পদযাত্রা হলো আওয়ামী লীগের পতনযাত্রা।
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিসভার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন।
এছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল হুসাইন,সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাঈল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আশফাক, নাজমুল আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দল্লাহ আল মামুন সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি বাহার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, জেলা ছাত্রদলে সভাপতি মো. মারুফ মিয়াসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা ও পৌর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।