মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে বাবার সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জ: যৌতুকের জন্য মেয়েকে হত্যা করেছে। হত্যার পর নিজেদের বাঁচাতে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা করছে। মেয়েকে হত্যার মামলা করার জন্য থানায় গিয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়ে এভাবেই বলতে থাকেন বাবা সিজিল মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উর্মির পিতা কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দিঘীরপাড় গ্রামের কৃষক সিজিল মিয়া জানান, প্রায় ৮ বছর আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমানের কাছে মেয়ে উর্মিকে বিয়ে দিয়েছিলেন। দাম্পত্য জীবনে ইভা আক্তার নামে ছয় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য উর্মিকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন সময় মোট চার লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই সে থামে না, শুরু করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরই মধ্যে স্বামী জিল্লুর রহমান বিদেশে যাবার জন্য আরও টাকা এনে দিতে স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন উর্মি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ও তার পরিবারেরে লোকজন নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এরপর গত ১৭ জানুয়ারি মেয়ে উর্মিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উর্মির বাবা আরও জানান, ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বর্তমানে স্বামীর বাড়ির লোকজন এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন উর্মির বাবা।সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ উর্মির পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ
দাউদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গৃহবধূ উর্মির লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।