দুর্ঘটনাকবলিত বাস
মাদারীপুরে: মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাস খাদে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর এই দুই জনের মৃত্যু হয়। নিহত দুই জন পুরুষ। তাদের এক জনের বয়স (৬৫)। অন্যজনের (৩২)।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদরের গোপিনাথপুরের হেদায়েত মিয়া (৪৫), সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি (২০), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অনাদি রঞ্জন মজুমদার, মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুরের আমজাদ আলীর ছেলে মাসুদ, পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চন্দ্রাপাড়ের বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ, গোপালগঞ্জ সদরের বনগ্রামের সামশু মিয়ার ছেলে মোস্তাক শেখ ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নিলফা গ্রামের শেখ কবির হোসেন।
নিহত অন্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মরদেহগুলো রাখা হয়েছে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আহতদের মধ্যে সাত জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি আহতরা হলেন- আ. হামিম (৫৫), শেখ ফয়সাল আহমেদ (৪০), বদরুদ্দোজা (৩০), পংকজ কান্তি ঘোষ (৫০) ঝুমা আক্তার (৩৪), মো. এনামুল (৪০) ও বুলবুল (৫০)।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন জানান, ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৪ জন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়।