নিহত স্কুলছাত্রী
নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে মুক্তি রানী বর্মণ (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক বখাটে।
মঙ্গলবার (০২ মে) স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া তার সহযোগীরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে মুক্তি রানী প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। সে বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়্যূথ গ্রুপের সদস্য ছিল। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে মুক্তিকে একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া প্রায়ই উত্ত্যক্ত ও প্রেম নিবেদন করত। প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় কাউনার। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে কাউসার মিয়া কয়েক সহযোগীকে নিয়ে মুক্তির পথ আটকায়।
একপর্যায়ে কাউসার মুক্তিকে দা দিয়ে কোপায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহে নেওয়ার পথে বিকেল ৪টার দিকে মুক্তি রানী মারা যায়।
বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক সুরজিৎ কুমার ভৌমিক এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।