বস্তা খুলে টাকা গণনা করা হচ্ছে। ছবি: কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক চার মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। পরে ১৯টি বস্তায় টাকাগুলো ভরে গণণার কাজে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (০৬ মে) সকালে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলার পর শুরু হয়েছে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) কাজী মহুয়া মমতাজসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পাশাপাশি মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার চার মাস পর মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে কতো টাকা পাওয়া গেলো তার হিসাব পাওয়া যাবে।
এরআগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দান সিন্দুকগুলো খুলে গণনা করে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।