বক্তব্য দিচ্ছেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তথা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব, যদি শুনি নৌকা হেরে গেছে।ক্ষমতায় গেছে খালেদা জিয়া। আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। তাহলে বেঁচে থাকার আর কোনো মূল্য নাই। ’
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভূটিয়ারকোনা গ্রামে আয়োজিত এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, প্রাপ্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রত্যাশা' শিরোনামে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এসময় নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যৌবনে অস্ত্র ধরেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছিলাম। হায়েনারা মা-বোনের ইজ্জত লুটে নিয়েছে এবং ৩০ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেই হায়েনারা যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে আমার বেঁচে থেকে আর লাভ কী। বেঁচে থাকার আর কোনো অধিকার নেই। ’
পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘আমি নিঃস্ব ও রিক্ত। ব্যাংকে আমার কোনো টাকা-পয়সা নাই। আমার কোনো সম্পদ নেই। আমি সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি, মানুষের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়ন। ’
আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, যদি আপনারা নৌকায় ভোট না দেন তাহলে জাতির সঙ্গে বেইমানি হবে, ত্রিশ লাখ শহিদের সঙ্গে বেইমানি হবে। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকটিবার সুযোগ দিন। যাতে করে রাজাকার-আলবদরদের দোসর খালেদা জিয়া যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। কারণ তারাই আমার মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে, ৩০ লাভ শহিদ করেছে। তাই তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাদের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।
মাওহা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে উঠানে বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীর আহমেদ রাজিব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা, মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল ফারুক, বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মোক্তাদির শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।