শরীয়তপুরে ঈদের জামাত
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার প্রধান ও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠে।
দরবার শরীফ মাঠে দরবার শরীফের গদিনশিন পীর বেলাল নূরী জামাতের ইমামতি করেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন। নামাজ শেষে শাহ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা খিচুড়ি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন।
সুরেশ্বর দরবার শরিফ সূত্র জানান, জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামক এক সুফি এই দরবার প্রতিষ্ঠা করেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় সুরেশ্বর গ্রামের পদ্মা পাড়ে অবস্থিত দরবার শরীফটি। সুরেশ্বরের অনুসারীরা প্রায় দেড় শ বছর আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।
দরবার শরীফের পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা যায়। সৌদি আরবসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের শাহ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। শুধু ঈদ না সব ধর্মীয় উৎসবও পালন করেন তারা।
তবে সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও তাদের অনুসারীরা পশু কোরবানি দেন না।