সংগৃহীত ছবি
কুমিল্লার সেই ট্যাঙ্ক বা দিঘি আর আগের মতো নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় ভরাট হয়ে গেছে এসব দিঘি বা পুকুর। ভরাট হতে হতে অল্প কিছু দিঘি বা পুকুর টিকে আছে শহরের বুকে। সেই দিঘীগুলোও এখন হুমকির মুখে। সুযোগ পেলেই ভরাট করার পায়তারা করছেন ভূমি দস্যুরা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এবার কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের ২য় মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত আড়াইশ বছরের পুরোনো হাতি পুকুরের একাংশ ভরাটের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে ভরাট কার্যক্রম বন্ধ ও ভরাটকৃত মাটি অপসারণ না করার কারণে কোতোয়ালি মডেল থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক নুর উদ্দিন বাদী হয়ে কুমিল্লা নগরীর ২য় মুরাদপুর হাতি পুকুরের উত্তর-পূর্ব পাড়ের সোনা মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল, ২য় মুরাদপুর হাতি পুকুরের পূর্ব পাড়ের মৃত এস এম নুর আলম এর ছেলে এস এম চঞ্চল সহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাতি পুকুরটি ২য় মুরাদপুর রোডের মুরাদপুর মোজার ২৪৮৩ এবং ৩০০ নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ৭৬ নম্বর দাগের ২.৩১২৫ একর আয়তনের। গত মে মাসের ২৮ তারিখ পুকুরের ৫ শতাংশ জায়গা ভরাটের লিখিত অভিযোগ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযোগ পাওয়ার দিনই পরিদর্শন শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুকুরের ভরাটকৃত অংশের মাটি সরিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরানোর নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা না মানায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬(ঙ) ও ১২ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বলেন, পুকুর রক্ষায় আমরা যথেষ্ট আন্তরিক। পুকুর বা জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই। আমরা এর আগেও পুকুর ভরাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি। পুকুর ভরাটে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।