চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ রেল জংশন এলাকায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় আটকা পড়ে একটি ডেমু ট্রেন।
ঢাকা: রাতভর ভারি বর্ষণে ফতেয়াবাদ এলাকায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় সকাল থেকে বন্ধ আছে চট্টগ্রাম নাজিরহাট ও বিশ্ববিদ্যালয় রেল যোগাযোগ।
সোমবার (০৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় শহর থেকে ছেড়ে আসলেও ফতেয়াবাদ রেল জংশন এলাকা রেললাইন ডুবে যাওয়ার কারণে আটকা পড়ে একটি ডেমু ট্রেন। ফলে অনেক চবি শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েন। আটকা পড়ায় ট্রেন থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের নন্দীরহাট ও বড়দিঘির পাড় এলাকার দুটি অংশের কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে রবিবার সকাল থেকে কার্যত বন্ধ আছে যানবাহন চলাচল। তবে কিছু যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ডুবে যাওয়া অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আজ সকাল ৮টায় ফতেয়াবাদ রেল জংশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চবি এবং নাজিরহাট যাওয়ার রেললাইন হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। রেললাইনের ওপর দিয়ে ঢল যাচ্ছে পানির। ফতেয়াবাদ রেল জংশনের কাছেই আটকে আছে ডেমু ট্রেন। প্লাটফর্ম এর কাছে ঝাঁকি জাল দিয়ে মানুষ মাছ ধরার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হারুন বলেন, যত ভারি বর্ষণই হোক না কেন আমার জীবনে কোনোদিন ফতেয়াবাদ রেল জংশন ডুবতে দেখিনি। মানুষ অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর এবং কলকারখানা গড়ে তোলায় খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রাববার সকালে ডেমু ট্রেন আটকা পড়ায় চবিতে যেতে পারেননি মেরিন সায়েন্সের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব। তিনি বলেন, শহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় থাকি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস ছিল। কিন্তু রেললাইন ডুবে থাকায় ট্রেন থেকে নেমে যেতে বাধ্য হলাম। বড়দিঘির পাড় এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের অংশটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। তাই শহরের বাসায়ও যেতে পারছি না।
এদিকে বেলা ১১টায় বড়দিঘির পাড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পানিতে ডুবে আছে। উভয় দিক থেকে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। যানবাহন আটকা পড়ায় একদিকে চট্টগ্রাম শহরগামী, অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামগামী বিপুলসংখ্যক যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চমেক হাসপাতালে যাচ্ছিলেন আবদুল মান্নান। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ির বাসিন্দা। মাইক্রোবাস নিয়ে বড়দিঘির পাড় এলাকায় আটকা পড়েন তিনি। বলেন, আমার বাবা তিন দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে যথাসময়ে নিতে না পারলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু রাস্তা ডুবে আছে, কি করে যাব।