
ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের।
বাগেরহাট: দুশ্চিন্তার কালো ছায়া ভর করেছে বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিদের মাথার ওপর। কারণ তিনদিনের টানা বর্ষণে বাগেরহাটে চার হাজারের বেশি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে মাছচাষিদের পৌনে দুই কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রবল জোয়ার অতিবৃষ্টিতে মাছচাষিদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সরকার এসব চাষিদের কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেয় না বলে অভিযোগ।
বাগেরহাটের ছয় উপজেলাতে চার হাজার ২৩০টি ছোট বড় মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। রামপালে ১৫৪০টি, মোরেলগঞ্জে ৮৫৫টি, মোংলায় ৭২০টি, কচুয়ায় ৬৪০টি, সদরে ২৭৫টি এবং শরণখোলায় ১০০টি মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে।
বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির ফকির মহিতুল ইসলাম বলেন, উপকূলীয় বাগেরহাটে বর্ষা মৌসুমে নানা দুর্যোগ আসে। এটা দুর্যোগকে সঙ্গী করেই এই জেলায় চাষিরা গলদা, বাগদা ও সাদা মাছ চাষ করে আসছে। দুর্যোগের কারণে চাষিরা সব সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। এই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পায় না। সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ চিংড়ি রপ্তানি করে এই খ্যাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসে। সরকারের উচিত এই শিল্পের সাথে জড়িতদের সহযোগিতা করা।
বাগেরহাট মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এ এস এম রাসেল বলেন, গত তিনদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার ছয় উপজেলাতে চার হাজার ২৩০টি মাছে ঘের ভেসে গেছে। এতে এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে চাষিদের। উপকূলীয় জেলার চাষিদের দুর্যোগ সহনশীল করে ঘের প্রস্তত করতে মৎস্য বিভাগ পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে অতিমাত্রায় দুর্যোগ হলে এই পেশার মানুষদের আর্থিক ক্ষতিতে পড়তেই হয়।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য বিভাগ আর্থিক কোনো প্রণোদনা দেয় না তবে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সহযোগিতার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সহযোগিতার বিষয়টি সরকারই ঠিক করতে পারে।