ছবি সংগৃহীত
মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন সুজন মিয়া। ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করে সংসার চালাতেন। শুক্রবার বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে গিয়েছিলেন গ্রামে।
সোমবার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন ঢাকায়। কিন্তু কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সপরিবারে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া, তার সহধর্মিণী ফাতেমা আক্তার, তার ছেলে সজীব মিয়া এবং ইসমাইল মিয়া।
ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় নান্দাইল উপজেলার এই পরিবারসহ আরও একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে আন্ত:নগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও অন্য একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়, এতে বিভিন্ন জেলার বহু মানুষ হতাহত হয়। তার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত অপর একজন হলেন উপজেলার মুসল্লি গ্রামের হীরা আক্তার। তিনি ঢাকায় বসবাসরত স্বামীর কাছে যেতে চেয়েছিলেন।
সুজন মিয়ার ভাই স্বপন মিয়া বলেন, আমার ভাই ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে তিনি ভ্যানে ডাব বিক্রি করে সংসার চালাতেন। গত শুক্রবার বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপলক্ষে সবাই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আজ ট্রেনে করে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় ভাইয়ের পরিবারের সবাই নিহত হয়েছেন। আমি অন্য একটা বগিতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছি।
রাজগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার মমতাজ জানান, এদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে। তারা ছোটখাটো বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।