ছবি সংগৃহীত
প্রাথমিকভাবে একটি সাধারণ মানের ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মধ্যরাতে শক্তি সঞ্চার করে ক্যাটাগরি ১ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘হামুন’। এ কারণে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এটি বিকেল থেকে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে রাত থেকেই পটুয়াখালীতে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের তেমন চাপ নেই। নদী ও সাগরে জোয়ার স্বাভাবিক। তবে সাগর কিছুটা উত্তাল। বৃষ্টিপাতের সাথে মাঝারি মাত্রার শীত অনুভূত হওয়ায় সাধারণ জীবনযাত্রায় পড়েছে এর প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী টানা বৃষ্টি হলে আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার শংকায় পড়েছে কৃষক। প্লাবিত হয়ে মাছের ক্ষতির শংকায় পড়েছে মৎস্যচাষিরা।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মতর্কাদের নিয়ে সভা করেছে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম। সভা থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তত করা হয়েছে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৮৭৬০ সিপিসি কর্মী। আর্থিক প্রয়োজনে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল।
শারদীয় দুর্গোৎসবের ছুটিকে কেন্দ্র পর্যটননগরী কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেলের অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা। এ মুহূর্তে যারা কুয়াকাটায় অবস্থান করছেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের সৈকতে ঘোরাঘুরিসহ সাঁতার কাটাতে নিষেধ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তবে মা ইলিশ প্রজননের জন্য ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ থাকায় সাগরে কোনো ট্রলার নেই বলে জানায় আলীপুর-মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ীরা।