
ফাইল ছবি
মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই চলে আসলো ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তবে সাতক্ষীরার উপকূলে ‘মিধিলির’ তেমন প্রভাব না পড়লেও ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা।
মিধিলির ঝড়ো তখন কৃষকের আধা পাকা ধান বাতাসে নুইয়ে পড়েছিল ক্ষেতে। মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় ফসলের মাঠে থাকা পাকা আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মানুষ।
পূর্বাভাস অনুসারে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। কিছুটা উত্তাল থাকবে সমুদ্র উপকূল।
কৃষকরা জানান, শ্যামনগর উপকূলে লবণাক্ততার কারণে শুধু আমন মৌসুমেই ধান হয়। এখন বিলের পর বিল পাকা ধানে ভরা। কিছু কিছু ধান কেটে ঘরে তুলেছেন অনেকে। তবে বেশির ভাগই এখনও মাঠেই রয়েছে। অনেকে কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকটে সে চেষ্টাও খুব সামান্য। এই সময়ে ঝড়-বৃষ্টি হলে এসব ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ৮০ শতাংশ পেকেছে এমন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। তাই ঝড় ও ভারী বৃষ্টির আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ মিগজাউমের প্রভাবে ঝড় ও ভারী বর্ষণ হলে কৃষকের আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্ভব হতে পারে। এরপরও অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ জমিন ধান গোলায় তোলা সম্ভব হবে না। কিছু কিছু জায়গায় ধান এখনো অপরিপক্ব রয়েছে। আধা পাকা এই ধান পাকতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে।