বাংলাবার্তা
ঝিনাইদহে অসময়ে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাবে বুধবার বিকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এসেছে শীতের আমেজ। এরই ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসময়ে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে সব শ্রেণীর মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাবে ঝিনাইদহে সারাদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই শহর বা গ্রামে মানুষের চলাচল কম লক্ষ্য করা গেছে। বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রয়োজনের কাজে বাইরে আসা মানুষেরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অনেকেই ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। কাজ না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের রকি হাসান জানান, ভোরে গ্রাম থেকে শহরে আসছি ইজিবাইক চালানোর জন্য কিন্তু আসার পর কিছু টাকা ভাড়া মারছি কিন্তু বৃষ্টির কারণে শীত লাগছে। তাই চায়ের দোকানে বসে একটু চা খাচ্ছি আর ভাবছি আজ যে টাকা ভাড়া মাড়বো তা নিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হবে। এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে আমি ভিজে ইজিবাইক চালাতে পারবো না। আর সারাদিন যা উপার্জন করতে পারবো তা দিয়ে বাজার সদায় করায় কষ্ট হয়ে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে যা থামবার নয়। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।