সংগৃহীত ছবি
মুন্সিগঞ্জে বাসার গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- রিজভী আহমেদ রাসেল (৩৫), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩৩), তাদের ছেলে রাইয়ান আহমেদ (৩) ও রিজভীর মা শাহিদা খাতুন (৬০)।
রিজভী আহমেদ জানান, তারা চলতি মাসের ১ তারিখে সদর উপজেলা পরিষদের পাশে একটি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় ভাড়া ওঠেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার। তার স্ত্রী গৃহিণী। সকালে তিনি, তার স্ত্রী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। তার বাবা ফজরের নামাজ পড়ে বাইরে গিয়েছিলেন। এসময় তার মা রান্না করার জন্য ওঠেন। চুলা জ্বালাতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তার মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় তারাও দগ্ধ হন।
রিজভীর বাবা রজব আলী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়েছিলেন। হাঁটাহাঁটি শেষে ফেরার সময় শুনতে পান তাদের বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তাদের উদ্ধার প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা নিয়ে আসেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, শাহিদা খাতুনের শরীর ৯৫ শতাংশ, রিজভীর ১০, রাইয়ানের ৮ ও রোজিনার ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবার মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে শাহিদা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাবার্তা/পারভেজ