বাংলাবার্তা
ঘন কুয়াশার কারণে এক রাতেই চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী পৃথক দুই স্থানে মোট চারটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। এতে সোহেল নামে একজন যাত্রী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন বেশ ক'জন যাত্রী।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নৌ বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বরিশালের ইলিশা থেকে ঢাকাগামী সুরভী-৮ এবং ঢাকা থেকে ভোলা চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী অতিক্রমকালে ঘনকুয়াশায় মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়। সোমবার রাত ১২ টায় এই দুর্ঘটনার সময় টিপু-১৪ লঞ্চটির ধাক্কায় সুরভী-৮ লঞ্চের কিনারে থাকা সোহেল নামের এক যাত্রীর বুকে লঞ্চটির পাইপ ভেঙ্গে জোড়ে লোহার আঘাত লাগে। এতে ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই ওই যাত্রী লঞ্চেই নিহত হয়। সে সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী বলে জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চগুলোর তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় তাদের মাষ্টারদের চাহিদানুযায়ী যার যার গন্তব্যে চলে যেতে চাওয়ায় আমরা লঞ্চগুলো চলে যাবার অনুমতি দিয়েছি। যার কারনে চাঁদপুরে কোন লঞ্চ ঘাটে ভিড়াতে হয়নি। আরেক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘনকুয়াশার কারনে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ পথে চলাচলকারী এম ভি এ আর খান-১ এবং ঢাকা-চাঁদপুর নৌ পথে চলাচলকারী এম ভি রফরফ-৭ লঞ্চের মধ্যে রাত সাড়ে ৩টায় মোহনপুর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রফরফ-৭ লঞ্চের দোতলার টেক্সিন ভেঙ্গে যায়। তবে যাত্রী সাধারণের জান মালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চের মাস্টার ড্রাইভারদের কে প্রতিনিয়ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া ছিলো। তারা বন্দর বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করার কারণেই এ ধরনের দূর্ঘটনা সংঘটিত হলো বলে আমরা ধারণা করছি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবত রাতের নদীপথ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। তার সাথে শৈত্যপ্রবাহের সাথে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
বাংলাবার্তা/এমপি