ফাইল ছবি
ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়ড়িয়া, জ্বরসহ শ্বাসজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিনই সদর হাসপাতালে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে শয্যা আর জনবল সংকটে বাড়তি রোগীর ভিড় সামলাতে ডাক্তার ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শিশু ওর্য়াডে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। হাসপাতালের কক্ষগুলোর মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে শিশুদের। প্রতিদিন নতুন করে শিশু ভর্তি হওয়ায় জায়গার সংকট বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে যত শিশু রোগী ভর্তি আছে তার বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
গত অক্টোবর মাস থেকে শিশু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন করে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বেশিরভাগ শিশু রোগীর ৭০ ভাগই নিউমোনিয়া, জ্বরসহ শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত। এমন সমস্যায় আক্রান্ত শুধু সদর হাসপাতালাই নয়, সরকারি শিশু হাসপাতালসহ স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েছে এ রোগীর সংখ্যা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামেরবাসী আলাউদ্দিন জানান, আমার সন্তানের জ্বরসহ শ্বাসজনিত সমস্যা হলে হাসপাতালে এনে দেখি সিট খালি নেই। তাই কোন উপায় না পেয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এক নার্স জানান, হাসপাতালের নার্সের সংখ্যা কম তাই রোগী বেশি হওয়াতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তারপরও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি সকল রোগীকে সেবা দিতে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (শিশু ওয়ার্ড) ডা. মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতনতার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন। গত এক মাসে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ার সাথে অন্যান্য সমস্যায় ২ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।
বাংলাবার্তা/এমপি