গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি (ছবি: বাংলাবার্তা)
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার চুরি করতে গিয়ে খুন করা হয় গৃহবধু পারুল আক্তারকে (৫০) । আলোচিত এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মোবারক হোসেন নামে এক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে ঘটনার বিবরণ দেয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মোবারকের স্বীকারোক্তির পর বাকি ২ আসামিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, লক্ষীপুরের টুমচর এলাকার বাদশার বাপের বাড়ির মঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (২০)। সে বেশ কিছুদিন ধরে ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ির প্রবাসী তারেকের বাসায় থাকত। অপর আসামি হলেন, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা আফজল মিস্ত্রি বাড়ির সেলিমের ছেলে ইহাব হোসেন শুভ (২০) ও উত্তর বারাহীগুনী এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল প্রকাশ সাদ্দাম (৩৬)।
মোবারক হোসেন জানায়, ওই রাতে তারা ৩ জন পারুলের ঘরে চুরি করতে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে পারুল তার মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। বিষয়টি দেখে মোবারকসহ তার সঙ্গীরা ওই নারীর হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিতে জোরজবরদস্তি করে। মোবাইলটি নিতে না পেরে ওই নারীর মাথায় আঘাত করে চোর চক্র। এতে ওই নারীর মৃত্যু হলে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনী পাটোয়ারী বাড়ীর নিজ ঘর থেকে পারুল আক্তার নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কাউকে অভিযুক্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ি থেকে মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সে আদালতে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আরও ২ জনের নাম জানায়।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, জায়লস্কর ইউনিয়নের আলোচিত গৃহবধু পারুল হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন আটককৃত আসামি মোবারক আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। স্বীকারোক্তিতে উঠে আসা ঘটনায় সম্পৃক্ত শুভ ও সাদ্দাম নামের আরও ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বাংলাবার্তা/এসএ