যশোরের শার্শায় বন্দরে শ্রমিদের নির্বাচনী প্রচারের কাজে হামলা (বাংলাবার্তা)
যশোরের শার্শায় নির্বাচনী প্রচারের সময় শ্রমিকের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটনসহ ৫ নেতাকর্মী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রায় এক ঘণ্টা বন্দরের স্বাভাবিক পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল বন্দরের ২ নম্বর গেটের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন, আ:লীগ নেতা আজিবর রহমান, শাহাবুদ্দিন মন্টু, ইয়াসিন আরাফাত শান্ত ও রায়হান রহমান।
এ ঘটনার সময় বন্দরের সামনের একটি মার্কেটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত তিন শ্রমিক নেতাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অর্থদন্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দর শ্রমিক নেতা হলেন : রাজু আহম্মেদ, মণ্ডল ও আব্দুর রশিদ।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বন্দর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে আ:লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন, তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোটকে উৎসবমুখর করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন করার স্বাধীনতা দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আজ সকালে তিনি সমর্থকদের নিয়ে চেকপোস্ট থেকে ভোট চাইতে চাইতে বন্দরের সামনে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এটা পরিকল্পিত হামলা। তবে যতই বাধা আসুক, নির্বাচন থেকে সরে যাব না।’
তবে এ ঘটনায় বেনাপোল ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ওহিদুজ্জামান ওহিদ জানান, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। বেনাপোল বন্দরে দুটি শ্রমিক ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন তার দলের লোকজন নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নে প্রবেশ করে। এ সময় তাঁর বন্দর দখলের আল্টিমেটামে উত্তেজিত শ্রমিকেরা তাঁদের প্রতিরোধ করতে গেলে কয়েকজন আহত হয়। তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হামলায় দুজন শ্রমিকও আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, হামলার সাথে জড়িত ৩ শ্রমিক নেতাকে অর্থ দিয়ে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং প্রার্থীরা স্বাধীন ভাবে ভোট প্রচারনা করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে বাঁধার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ৩ শ্রমিক নেতাকে অভিযুক্ত করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে তিন জনকে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
বাংলাবার্তা/এমপি