জাল টাকা তৈরি চক্রের ৫ সদস্য (ছবি বাংলাবার্তা)
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জাল নোট তৈরী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জাল টাকার নোট উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মাজহারুল ইসলাম সবুজ, মো. জিয়াউর রহমান, মো. শরীফ মিয়া, মো. খোরশেদ আলম নবী এবং এনামুল হক।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসন থানার নলজানি এলাকায় জয়দেবপুর-গাজীপুর চৌরাস্তাগামী সড়কে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় সেখান থেকে এনামুল হকের পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে ২৩ হাজার জাল টাকার নোট, জিয়াউর রহমানের পরিহিত লুঙ্গির কোচর হতে ১৩ হাজার জাল টাকার নোট, শরীফ মিয়ার প্যান্টের পকেট থেকে ১৫ হাজার জাল টাকার নোট উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মাজহারুল ইসলাম সবুজ এবং মো. খোরশেদ আলম নবীদের কাছ থেকে তারা জাল টাকা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দিঘীরচালার মুচিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাজহারুল ইসলাম সবুজকে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগে রক্ষিত ৪ লাখ ৮৯ হাজার জাল টাকার নোট, ১ লিটার কোকাকোলার প্লাস্টিকের বোতলে রক্ষিত জালটাকা স্বচ্ছ করার রাসায়নিক তরল পদার্থ ও একটি স্মার্ট বিভো মোবাইল ফোন এবং জাল টাকার নোট বিক্রির নগদ ৩১ হাজার টাকা এবং খোরশেদ আলম নবীকে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগে রক্ষিত ২ লাখ জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার করে।।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জাল টাকা তৈরী করে। আলাউদ্দিনের সহযোগী খোরশেদ আলম জাল টাকা ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করেন। এই চক্রটি সারা বছরব্যাপী জাল টাকা তৈরী ও সরবরাহ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের মূলহোতা আলাউদ্দিনসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে বাসন থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমপি