মোবারকগঞ্জ সুগার মিল (বাংলা বার্তা)
আখের দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা চাষে ঝুকছেন বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের মহা-ব্যবস্থাপক (কৃষি) গৌতম কুমার মন্ডল।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন বিএসএফআইসির প্রধান প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম। পরে কুমার মন্ডল সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
চলতি মাড়াই মৌসুমে ৪০ দিনে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।চিনি আহরণের গড় ৬ শতাংশ হলে এ পরিমাণ চিনি উৎপাদন হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
এবছর মিলে প্রতি মন আখের দাম ধরা হয়েছে ২২০ টাকা। এর আগের বছর মন ছিল ১৮০ টাকা। উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে ১৯৬৫ সালে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০৭.৯৩ একর নিজস্ব জমির উপর নেদারল্যান্ড সরকার মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি স্থাপন করে। এরমধ্যে ২০.৬২ একর জমিতে কারখানা, ৩৮.২২ একর জমিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক কলোনী, ২৩.৯৮ একর পুকুর এবং ১০৭ একর জমিতে পরীক্ষামূলক ইক্ষু খামার। এছাড়া ১৮.১২ একর জমিতে জুড়ে রয়েছে সাবজোন অফিস ও আখ ক্রয় কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠাকালীন মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে ৬০ কর্মদিবস আখ মাড়াই চলে। লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় ১৯৬৭-১৯৬৮ মাড়াই মৌসুম থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করে। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা ছাড়াও যশোরের দু’টি উপজেলা নিয়ে গঠিত মিলে আটটি জোনের আওতায় চাষযোগ্য জমির পরিমাণ রয়েছে সাড়ে তিন লাখ একর। আখ ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৪৮টি।
বাংলাবার্তা/এআর