মেহেরপুর ১ ও ২ আসনের প্রার্থীরা (ছবি: বাংলাবার্তা)
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরের দুটি আসনে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রতি।
ভোটের দিন যতো এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের ব্যস্ততা। শহর এলাকায় প্রচারণা তুঙ্গে থাকলেও গ্রামাঞ্চলে ভোটের আমেজ তুলনামূলক কিছুটা কম রয়েছে।
মেহেরপুর ও মুজিবনগর নিয়ে গঠিত মেহেরপুর-১ আসনে ৬ জন এবং গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর-২ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান, স্বতন্ত্র মো. জয়নাল আবেদিন, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জেলা সহ-সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম লিটন, কৃষক মুক্তি জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. বাবুল জম।
এদিকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগর, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, তৃণমূল বিএনপি আব্দুল গনি, জাতীয় পার্টির কেতাব আলী সোহেল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আল ফারুক বাবুল, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির গোলাম রসুল ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহ জামাল।
তবে ভোটের মাঠে মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ও সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান এবং মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগর ও স্বতন্ত্র মো. মকবুল হোসেনের মধ্যে লড়াই হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি মেহেরপুর-১ আসনে ৩ লাখ এবং মেহেরপুর-২ আসনে ২ লাখ ৬৬ হাজার ভোটার প্রত্যক্ষ ভোট প্রদান করে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন।
এদিকে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
বাংলাবার্তা/এসএ