ছবি: বাংলাবার্তা
মানিকগঞ্জ - ২ আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের নগদ টাকা ও বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজের নগদ টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে হরিরামপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বাধাগ্রস্তসহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভোটের জন্য টাকা বিতরণের অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। সেটাকে চায়ের বিল দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ -২ আসনে নৌকার প্রতীক পেয়েছেন সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তার বিপক্ষে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মমতাজ বেগমের সমর্থক মো. শহিদুর রহমান (ভিপি শহিদ) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে টাকা বিতরণের ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, আমি নৌকা মার্কার চীফ এজেন্ট। টাকা দিয়ে ভোট কেনা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই অভিযোগ করবো। আমাদের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নৌকার আরেক কর্মী হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ট্রাক প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থকেরা যেভাবে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী আর টাকা দিয়ে ভোট কিনছে, তাতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে টাকা দেওয়ার ঘটনাটি একটা চায়ের দোকানে বিল দেওয়ার টাকা। তবে চায়ের বিল দেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন কি-না জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাবার্তা/এসএ