ঘন কুয়াশায় রাস্তায় যানবাহন চলছে (ছবি: বাংলাবার্তা)
উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। মাঘ না আসতেই জানান দিচ্ছে শীতের দাপট। দুদিন ধরে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সূর্য়ের মুখ দেখা না যাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অনেকটাই বিপর্যস্ত এ অঞ্চলের জনজীবন। সূর্যের লুকোচুরিতে শীত নিবারণে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় প্রান্তিক ও নগরীর আশপাশের ছিন্নমুল মানুষকে শীত নিবারনের জন্য আগুনের তাপ নিতে দেখো যাচ্ছে।
রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও আদ্রতা শতভাগ রয়েছে। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন সরকারী ও বেসকারী হাসপাতালের শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের প্রভাব কষ্টার্জিত জীবন কাটাচ্ছে। শীত জনীত রোগের কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
রংপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা এবং সত্যপ্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। একই সাথে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। হাসপাতালে দীর্ঘ হচ্ছে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা।
শীতের কারণে বয়স্ক ও শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকস্ট, নিমোনিয়া, বুকজাম, কাশি, সর্দি ও জ্বরসহ নানা শীতজনিত রোগ। এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
বাংলাবার্তা/এসএ