ঘন কুয়াশায় মানুষের জীবনযাত্রা (ছবি: বাংলাবার্তা)
পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে গত কয়েক দিনের টানা তীব্র শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার ৭টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জেলার ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশু, বয়স্ক ও বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত কারণে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাটি উপজেলায় তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি। জেলা সদরের ১শ শয্যার এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই নানা প্রান্ত থেকে ১৫০ থেকে ২০০ রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের পাশাপাশি নানা ধরণের শতাধিক রোগীও হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে জেলার হাসপাতাল গুলোতে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি সামনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্স রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। তবে শীতের এই সময়টা শিশু ও বয়স্কদের গরম কাপড়সহ অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাড়কাঁপানো শীতে কাপছে উত্তরের জনপদ
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, জেলায় শীত বাড়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আমরা যে কম্বলগুলো পেয়েছি সেগুলো ৭টি উপজেলায় দেওয়া হয়েছে। সেই কম্বল গুলো ইউপি চেয়াম্যানদের মাধ্যমে অলরেডি বিতরণ চলছে। এই শীতে কেউ যেন কষ্ট না পায় এবং বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাবার্তা/এসএ