ছবি সংগৃহীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি এসে পড়লো উত্তর পাড়া এলাকায় চলন্ত একটি সিএনজিতে। গুলির আঘাতে গাড়ির সামনের গ্লাস ফেটে যায়। তবে এতে কেউ হাতাহত হয়নি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন কিছুটা শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে মর্টার শেল ও গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। এতে সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে ফের ঘুমধুম তুমব্রু এলাকায় থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। পরে দুপুর ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি এসে পড়ে উত্তর পাড়ায় চলন্ত একটি সিএনজিতে।
সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর সদস্যরা তাদের টহল জোরদার করার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে যাতে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর সতর্কতায় রয়েছে। এছাড়া বিজিবির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বুলেট আতঙ্কে বান্দরবানে ৮টি স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি উত্তর পাড়ায় রাস্তায় চলন্ত সিএনজিতে এসে পড়েছে। তবে কোনো হতাহত হয়নি। প্রায় দুইমাস ধরে ওই দেশে গোলাগুলি চলছে। তবে শুক্রবার সারাদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা না গেলেও শনিবার সকাল থেকে আবার বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল থেকে ওপার থেকে আবার বিস্ফোরণের শব্দের খবর শুনেছি। সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতি হলে ঝুকিতে থাকা জনসাধারণকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেওয়ার হবে। তবে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাবার্তা/এসএ