আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা (ছবি: সংগৃহীত)
নোয়াখালীতে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মামলার অন্য ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া সব আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় দেন।
ফাসির আসামিরা হলেন, মো. রুহুল আমিন, মো. সোহেল, স্বপন, মো. হাসান আলী বুলু, ইব্রাহীম খলিল, আবুল হোসেন আবু, মো. জসীম উদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. মুরাদ ও মো. জামাল।
অন্যদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম ওরফে কুড়াইলা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (পলাতক) ও মো. সোহেল।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে রাতে স্বামী-সন্তানদের বেধে রেখে গৃহবধূকে (৪০) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও মারধর করা হয়। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়া।
এ ঘটনার সময় নির্যাতিত ওই নারীর আত্ম চিৎকারের একটি অডিও ভয়েস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাটি সারা দেশে আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এরপর ঘটনার পরদিন ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতিত নারীর স্বামী বাদি হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে একই বছরের ২৭ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের নামে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি মিন্টু হেলাল (২৮) নামে এক আসামি পলাতক রয়েছে। ১৫ জনের মধ্যে ৮ আসামি নিজেদের দোষী স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
বাংলাবার্তা/এসএ