ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাংলাবার্তা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সীমান্তের ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ঘুমধুম ইউনিয়নের সাত নাম্বার ওয়ার্ডের ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জনগণের জন্য আশ্রয় শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
যারা অর্থাভাবে আশ্রয় শিবিরে যেতে পারছেন না তাদের গাড়ি ভাড়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এ আশঙ্কায় ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশপারি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পাশবর্তী কক্সবাজার উখিয়া, মরিচ্যা, কোট বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকেই আশ্রয় নিয়েছে।
মধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা ৫ থেকে ৬ দিন ধরে সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। গত রাতব্যাপী সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
বাংলাবার্তা/এআর