মর্টারশেল উদ্ধার। ছবি : সংগৃহীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মিয়ানমারের নিক্ষেপকরা মর্টারশেল, রকেট লাঞ্চার, বোমার আতঙ্কে দিনপার করছে স্থানীয় বাসিন্ধারা।
গত তিনদিন ধরে ঘুমধুম তুমব্রুর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও স্থানীয়দের ধান ক্ষেত ও বসতবাড়ির আশেপাশে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল-রকেটলাঞ্চার ও গোলা দেখতে পাওয়ায় আতঙ্ক কিছুতেই কাটছেনা স্থানীদের। গত তিনদিনের ব্যবধানে পৃতক পৃতক স্থানে তিনটি মর্টারশেল বা রকেটলাঞ্চার পাওয়া গেছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু পশ্চিমকূল এলাকা থেকে একটি মর্টারশেলটি উদ্ধার করা করে বিজিবি। এপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনে ব্যবধান তিনটি মর্টারশেল উদ্ধার করেন।
সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াপাড়া এলাকা থেকে একটি মর্টারশেল, শ্রক্রবার (১০ ফেবরুয়ারি) দুপুরে তুমব্রু পশ্চিমকূল বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ধান ক্ষেত থেকে একটি ও সর্বশেষ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিজবি ক্যাম্পের কাছাকাছি ব্রীজ থেকে একটি মর্টারশেল’সহ তিনদিনে ব্যবধানে মোট তিনটি অবিষ্ফোরিত মর্টারশের উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্ধাদের ধারাণা এ অবিষ্ফোরিত মর্টারশেল বা রকেটলাঞ্চারগুলো ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ চলাকালীন এবং ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্ধারা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় এপারে ধান ক্ষেত’সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এ মর্টারশেল ও রকেটলাঞ্চার গুলোই এখন জনগনের চোঁখে পড়ছে। এ ধরনের গোলা বিভিন্ন জায়গায় আরও থাকতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, গত তিনদিনের ব্যবধানে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় তিনটি মর্টারমেল উদ্ধার করেন বিজিবি। শনিবার সকালেও বিজবি ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও একটি অবিষ্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়া বাসিন্ধারা বাড়ি ফিরছে। পাশাপাশি মর্টারশেল গুলির কারণে স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নে সীমান্ত সড়কের ব্রীজের উপর মর্টারশেল দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে মর্টারশেলটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। এনিয়ে তিনদিনের ব্যবধানে ঘুমধুম তুমব্রু এলাকা থেকে তিনটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাবার্তা/এআর