সীমান্ত পরিদর্শন। ছবি: বাংলাবার্তা
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সেনা ও বিদ্রোহীদের চলমান যুদ্ধের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম-তুমব্রুর পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরে খারাপ থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা।
জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সেনা ও বিদ্রোহীদের চলমান যুদ্ধের কারণে এপারের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বর্থে এসএসসি পরিক্ষার আগে নির্ধারণ করা ভেন্যু পরিবতন করে এক নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুই নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এসএসসি পরিক্ষার কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। এ কেন্দ্র দুটিতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০২ জন। আগামী (১৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে একযোগে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন কালে চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতির আগের চাইতে বর্তমানে অনেকটা শান্ত রয়েছে। এসএসসি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বর্থে পরিক্ষার আগে নির্ধারণ করা ভেন্যু পরিবতন করা হয়েচে। এছাড়া সীমান্তের বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পর্যায়ের আলাপ আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনঅ বিজিপি, সে দেশের সেনাবাহিনী ও সসরকারি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই এটির ফলাফল আসবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠোকাতে বিজিবি ছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি তিনটি ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ, কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ কাজ করছে। সীমান্তের ওপার থেকে গুলির আওয়াজ আসলে এপারের বাসিন্ধারা আতঙ্কিত হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এরআগে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা কক্সবাজারের উখিয়া, পালংখালি, আনজুম্মান পাড়া সীমান্ত, বালুখালি ক্যাম্প, রহমত বিল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপলোর নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল মান্নান, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রমূখ্য।
উল্লেখ্য, এবছরের জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মিয়ানমার সরকারি জান্ত বাহিনী সে দেশের বিদ্রোহীদের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে পালিয়ে আসে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ অন্যান্য সংস্থার ৩৩০ জন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাবার্তা/এআর