ছবি: বাংলাবার্তা
গাজীপুরের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় মুনিয়া বেগম (৩০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পোশাক শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। একই সাথে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেড এবং পদ্মা অ্যাপারেলস কারাখানা ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সিটি করপোরেশনের গাড়ি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যুর পর এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সড়কে পোশাক শ্রমিক মুনিয়ার মৃত্যুর পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। একই সাথে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে এবং সিটি করপোরেশনের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দীর্ঘ সময় মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শ্রমিকরা শুধু সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করেই থেমে থাকেনি। একই সাথে বিভিন্ন কারাখানায়ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেড এবং পদ্মা অ্যাপারেলস কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। এমন অভিযোগ করেন দুটি কারখানার পরিচালক জাবেদ হোসাইন ভূইয়া।
পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেড এবং পদ্মা অ্যাপারেলস কারখানার পরিচালক জাবেদ হোসাইন ভূইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় সড়কের শ্রমিক মুনিয়ার মৃত্যু পরই কিছু লোকজন আমাদের কারখানার ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তারা আমাদের শ্রমিকদের বিক্ষোভে একত্রিত করার চেষ্টা করছিল। আমরা বাধা দিলে তারা কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করে পার্কিংয়ে থাকা পিকআপ এবং প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। কারখানার বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন তিনি।
কারখানায় হামলার ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমিকদের এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বহিরাগতদের ইন্ধন থাকতে পারে। কারখানায় সিসিটিভির ফুটেজে তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গাজীপুরের গাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং বেশ কিছু গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেছে।
বাংলাবার্তা/এসএ