প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপার থেকে গোলা ও মর্টারশেল আতঙ্কে বন্ধ ঘোষণা করা পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সে দেশের জান্তা বাহিনীর চলমান সংঘর্ষে আতঙ্কের কারণে দীর্ঘ এক মাস বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
স্কুলগুলো হলো: ঘুমধুম তুমব্রু সীমােন্তর বাইশফাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে গুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মাঝেমধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়াও ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বেতবুনিয়া, ভাজাবুনিয়া, গর্জনবুনিয়া, জলপাইতলী, বাইশফাড়ি সীমান্ত এলাকাগুলিতে গোলাগুলির শব্দ কমার পর স্থানীয় কৃষকরা কাজে ফিরেছে। পাশাপাশি ওই এলাকার হাট-বাজার গুলোতে আগের মতো ব্যবসা বাণিজ্য চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তবে সীমান্ত নিয়ে কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের মর্টার শেল, বুলেটের ঝুকি এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া বিদ্যালয়গুলোতে বুধবার থেকে ফের পাঠদান চালু করা হচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত (২৯ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয় সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠায় স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাবার্তা/এআর