দণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম (ছবি: সংগৃহীত)
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় নকল সরবরাহের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলামকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলার পৌরসভার শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করতো। এ দিন দুপুরে শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত কেন্দ্রে নকল সরবরাহের ঘটনা নিশ্চিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইউএনও ইয়াসির আরাফাত বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি গাড়ি দুরে রেখে হেটে প্রবেশ করি শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া এবং কিছু শিক্ষক এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছিল। বিষয়টি সন্দেহ হলে শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করি। এতে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে অসংখ্য হাতে লিখে সমাধান করা প্রশ্নের উত্তর ও নকল পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষকদের ইঙ্গিতে পরীক্ষার্থীরা নকল জানালা দিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ফেলে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ফেলে দেওয়া নকল গুলো সংগ্রহ করে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫ থেকে ৩০ কপি হাতে লিখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন। তখন শিক্ষক ছায়েদুলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার ব্যবহৃত মোবাইলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে মধ্যে শ্রেণিকক্ষের বাহিরে পাওয়া নকলের ছবির হুবহু মিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাথে এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাবার্তা/এসএ