ছবি : সংগৃহীত
ফেনীর ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১২'শ ৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ফেনী সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজিত বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। এক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কৃষি উপকরণ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষি জমির বেহাল দসা। কৃষি জমির মাটি বিক্রি করে কৃষি জমি ক্ষয়ক্ষতি করছি। তারা সামান্য অর্থের লোভে আরো অন্যান্য জমিও বিলিন করে দিচ্ছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মাটিদস্যুদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছার থাকতে হবে। থানায় ১০ থেকে ১২টি মামলা হয়েছে।
আপনারা মামলা দেয়ার আগ্রহ থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে থানায় মামলা রজু করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গতমাসে মাটি কাটার দায়ে ২৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করে তাদেরকে থামানো যাচ্ছে না। কারণ আমি নিজে সচেতন হতে হবে। তাহলে মাটি কাটা প্রতিরোধ করতে পারবো। এবং কোন ব্যক্তি জোরদবস্ত করে মাটি কাটলে সাথে সাথে আমাদের অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি পুর্নবাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব শারমীন আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একে শহীদ উল্লাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোৎস্না আরা বেগম।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মনছুর আহম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার পাচঁগাছিয়া ইউনিয়নের কৃষক দিদার হোসেন ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কৃষকরা।
ফেনী সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, খরিপ-১/২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি মৌসুমে আউশধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১২'শ ৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রতিজন কৃষকের জন্য এক বিঘা জমিতে মৌসুমে আউশধান উৎপাদন করতে ৫ কেজি আউশ বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি এবং এমওপি ১০ কেজি করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৮ লাখ ছেচল্লিশ হাজার টাকা ব্যয় কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর