ছবি : সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঘোর বিপদে আওয়ামী লীগ। জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে গেছে সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারের সঙ্গে যোগসাজসে সরাসরি অন্যায়-অপরাধে জড়ানো ব্যক্তিদের। এদের অনেকে পলাতক, অনেক আটক হয়েছেন, অনেকে শেখ হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠি শহরে আলিশান বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত বাড়িটি ছিল জাঁকজমক। যা এখন ভূতুড়ে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ রোনালছে রোডে আমুর আলিশান বাড়িটির অবস্থান। এখানে নিরাপত্তা বলয় ছিল। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতো নিরাপত্তাকর্মীরা। আমু এলাকায় আসলে দলের নেতাকর্মীদের ঢল নামতো। বাড়ির সামনের সড়কে দামি দামি গাড়ি জটলা লেগে থাকতো। কিন্তু বাড়িটিতে বর্তমানে সুনসান নিরবতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে আমুর অট্টালিকা এখন ক্ষতবিক্ষত। মনে হবে ভূতুড়ে একটি বাড়ি। সুদৃশ্য বাড়ির দুটি ভবনের বাহিরে ও ভেতরের পুরো অংশ পুড়ে গেছে। ভবনের দরজা ও জানালাও নেই। এ যেন একটি বাড়ির কঙ্কাল।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালায়নের পর দুপুরে তৎকালীন ঝালকাঠি-২ এর এমপি আমুর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেয়। ওই একই দিন আমুর অনুসারী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে ক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ভবনে থাকা সকল মালামাল লুট ও অগ্নি সংযোগ করে ওই চক্রটি। তবে ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত ঝালকাঠি শাসন করা আওয়ামী লীগ নেতা আমুর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানে না কেউ।
অগ্নি সংযোগের পর আমুর বাগি থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ।
ঝালকাঠি জেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির তৃতীয় তলায় এক কক্ষে কম্বলে ধরানো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় কিছু টাকা বেরিয়ে আসে। কয়েকটি লাগেজও ছিল। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশকে জানানো হয়। প্রশাসন টাকাগুলো জব্দ করে এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।
বাংলাবার্তা/এমআর