ছবি : সংগৃহীত
গাজীপুরে তৃতীয় দিনের মতো চলছে শ্রমিক আন্দোলন। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া এই আন্দোলন সোমবারও (১১ নভেম্বর) অব্যাহত আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে হয়ে যাতায়াত করা বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা। প্রতিদিন সড়কের ৩০-৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। তিন দিন ধরে একই জায়গায় আটকা পড়েছে অনেক পরিবহন।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশ যাত্রীদের বিকল্প রাস্তা বেছে নেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এই রোডের যাত্রীদের ট্রেন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আবার এই রোডে সব জেলার যাত্রীদের ট্রেনও বিকল্প নয়। ফলে গাজীপুর এখন দুর্ভোগের নগরী হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজও বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। অবরোধে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
শ্রমিকরা কয়েকবার অবরোধ তুলে নেয়ার আশ্বাস দিলেও মালিকপক্ষ তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় তারা অবরোধ তুলে নেননি।
ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ইউনাইটেড পরিবহনের এক চালক জানান, শনিবার সকাল নয়টা থেকে তিনি কলম্বিয়া গার্মেন্টসের উত্তর পাশে এসে আটকা পড়েছেন। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে হেঁটে চলে গেলেন। কিন্তু তিনি ও তার দুই সহকারী তিন দিন ধরে ওখানে আটকা পড়েছেন।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, শনিবার আন্দোলনের শুরু থেকেই গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের আমাদের ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন, শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সকলে মিলে কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে টিএনজেড এর শ্রমিক ভাইয়েরা যে অবরোধ করে রেখেছে, আমরা তাদের বারবার বলেছি রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে বেতন পাচ্ছে না, এটার দাবিতে তারা অবস্থান নিয়েছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি।
বাংলাবার্তা/এমআর