ছবি : সংগৃহীত
পেটের ভেতর ৩ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে বিমানে ঢাকায় আসেন জুয়েল মিয়া (৩৩)। পেশাদার মাদকচক্রের এই সদস্যকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি বিশেষ দল।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মাদ সিহাব কায়সার খান (বিপিএম, পিপিএম)।
তিনি জানান, এপিবিএনের একটি বিশেষ দল গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দরের আগমনী ক্যানোপি-১ এলাকায় মাদকচক্রের এই সদস্যকে আটক করে।
এপিবিএন সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তাদের দায়িত্বরত দল জানতে পারে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন টার্মিনালের সামনে নতুন রাডার বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে একজন যাত্রী নিজ দেহে অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করছেন। এমন সংবাদে এপিবিএনের দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জুয়েল পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিন পালাতে ব্যর্থ হন। তাকে এএপি অফিসে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেহ তল্লাশি করা হয়। অভিযুক্ত জুয়েল এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, তার পেটের ভেতর ইবায়া রয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এপিবিএনকে জানান, তিনি ইয়াবাগুলো কয়েক ভাগে ভাগ করে কালো টেপে মুড়িয়ে কলার সঙ্গে সেবন করেন।
এপিবিএন আরও জানায়, জুয়েল বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট নং-ইএ ৪৪০ যোগে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন। তাকে হলি ল্যাব ডায়গনস্টিক কমপ্লেক্সে এক্সরে করালে পেটের ভেতরে অস্বাভাবিক ডিম্বাকৃতি বেশ কিছু বস্তুর অস্তিত্ত্ব দেখা যায়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে প্রাকৃতিক কার্যের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির নিজ হাতে ৭১টি ডিম্বাকৃতির কালো টেপ দ্বারা মোড়ানো পোটলা উপস্থাপন করেন। পোটলা খুলে মোট ৩ হাজার ৮০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
মাদকচক্রের এই সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১০(খ) ধারার অপরাধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
এপিবিএন জানায়, জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের কাছে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছে। পাকস্থলিতে অধিক পরিমাণে অস্বাভাবিক ও ভারি বস্তু বহনের কারণে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় কম বলে অনেক অপরাধী এয়ারপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমআর