ছবি : সংগৃহীত
শীতের পারদ পেড়েছে তেঁতুলিয়ায়। তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ। থমকে গেছে জনজীবন। এই বিস্তীর্ণ জনপদ মধ্যরাত থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। এই সময় বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা।
হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ অন্য জেলার তুলনায় দ্রুত বাড়তে। উত্তর-পশ্চিম হতে বয়ে আসা হিম বাতাসে তেঁতুলিয়ায় গেল কয়েক দিন যাবৎ তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১১ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে।
আজ সকাল নয়টায় জেলার তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এটিই আজকে সর্বনিম্ন রেকর্ড। এর আগে সকাল ছয়টায় ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। আবহাওয়া অফিস এই তথ্য দিয়েছে।
সকালে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সূর্য উঠেছে; আবার কুয়াশাও ঝরছে। বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরছে। কৃষকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই কাজে মাঠে নেমেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। পরতে হচ্ছে গরম-কাপড়।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।
একজন বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। এখনই যে কুয়াশা দেখছি, আরওতো দিন আছে।
একজন দিনমজুর বলেন, গতকালের চেয়ে আজ কুয়াশা আরও বেশি। সকালে কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। আমরা যারা দিন এনে দিন খাই, তাদের খুব সমস্যা হয়েছে।
দিনের বেলা তাপমাত্রা কোনোভাবে সহ্য করা গেলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছে না। শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।
বাংলাবার্তা/এমআর