ছবি : সংগৃহীত
এখনো আসেনি পৌষ মাস। এরই মধ্যে হাড়-কাঁপানো শীত নেমেছে উত্তরের জনপদে। শীতের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষেরা। শীত নিবারনে নেই পর্যাপ্ত গরম-কাপড় ও কম্বল। আবার বাইরে কাজের জন্য বের হওয়া যাচ্ছে না। এতে দুর্দশায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়ের পথঘাট প্রকৃতি ও জনপদও সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সকাল নয়টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
এদিকে, সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সকাল নয়টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাদেশে পৌষের হাড়-কাঁপানো শীত নেমেছে। পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তদের কাছে শীতের দিনগুলো উৎসবের হলেও নিম্নবিত্ত এবং সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এক
কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে পুরোনো লুঙ্গি গায়ে জড়িয়ে কাজে বেরিয়েছেন একজন শ্রমজীবী। জেলা শহরের ধরলা সেতু এলাকা থেকে তোলা- সুজন মোহন্ত
উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার সাথে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এ জনপদ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, অনেক বেলা হওয়ার পর সূর্য উঠেছে; আবার কুয়াশাও ঝরছে। বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরছে। কৃষকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই কাজে মাঠে নেমেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই শীতের মাত্রা আরও তীব্র হচ্ছে। সারাদিনই পরতে হচ্ছে গরম-কাপড়। তবুও শীত লাগছে।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।
একজন বলেন, অনেক বেলা পর্যন্ত প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। এখনই যে কুয়াশা দেখছি, আরও তো দিন বাকি আছে।
দিনের বেলা তাপমাত্রা কোনোভাবে সহ্য করা গেলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা সহ্য করা যায় না। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
বাংলাবার্তা/এমআর