ছবি : সংগৃহীত
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সাদপন্থিরা।
আজ রবিববার (১৫ ডিসেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সামনে ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’-এর ব্যানারে এই অবস্থান ধর্মঘট চলছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে মাওলানা সাদের অনুসারীদের সঙ্গে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে। তারা বলছেন, ইজতেমা মাঠে ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনের জোড় পালনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মাওলানা সাদ কান্ধলভী যেন এতে নিরাপদে যোগ দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, ইজতেমা মাঠে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা। এ সময় মাওলানা সাদ অনুসারীদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা। এতে আহত হন সাদ অনুসারীদের দুই মুসল্লি।
পুলিশ ও তাবলীগ জামাত সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করেন বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাদ কান্ধলভির বেশকিছু বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর নানা অসন্তোষের সত্ত্বেও ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন তিনি। তখন এ নিয়ে বাংলাদেশে নানা তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। মাওলানা সাদকে কোনোভাবেই ইজতেমায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া যাবে না বলে দাবি জানান ওলামায়ে কেরাম। এসব দাবির মুখে ইজতেমায় অংশগ্রহণ না করেই কাকরাইল মসজিদ থেকে ভারতে চলে যান তিনি। এরপর থেকে তাকে আর বিশ্ব ইজতেমায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। যদিও প্রতিবার তাকে ইজতেমায় উপস্থিত করতে চেষ্টার কমতি রাখেন না তার অনুসারীরা। মাওলানা সাদকে ঘিরে বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে আলাদাভাবে দুই পক্ষ তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা শুরু করে।
প্রায় এক শতাব্দি আগে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি (রাহ.)-এর মাধ্যমে প্রচলিত দাওয়াত তাবলীগের সঙ্গে পরিচয় হয় মুসলমানদের। মহান এ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে বহু পথভোলা, অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথে ফিরে আসে। দাওয়াত ও তাবলীগ মুসলিম ও অমুসলিম সব দেশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমআর