ছবি : সংগৃহীত
ছয় দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে পঞ্চগড়ে। ভোর থেকে শুরু থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত গ্রামগুলোতে চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা। এতে বেশি কষ্টে আছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরা।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় জেলায় তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি রেকর্ড হয়। গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল ৯.১ ডিগ্রি। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠে গেছে সূর্য। সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ ছড়ালে অনুভূত বরফের মতো কনকনে শীত। তবে বেলা বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে রোদের তেজ। সকাল ৯টার পর হারিয়ে যেতে থাকে কনকনে শীতের প্রভাব।
তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতের প্রভাব থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক ও দিনমজুর। তারা জানাচ্ছেন, সকাল ৯টার পর থেকে এ অঞ্চলে আর ঠান্ডা থাকছে না। তবে নদীর পানিতে পাথর তুলতে গেলে বরফগলা পানিতে নেমে পাথর তুলতে গেলে দিনশেষে জ্বর, সর্দি আর কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। পাথর তুলেই পরিবার চলে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই কাজে বের হতে হয় আমাদের।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।
একজন বলেন, অনেক বেলা পর্যন্ত প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। এখনই যে কুয়াশা দেখছি, আরও তো দিন বাকি আছে।
দিনের বেলা তাপমাত্রা কোনোভাবে সহ্য করা গেলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা সহ্য করা যায় না। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
বাংলাবার্তা/এমআর