কুলিয়ারচর থানা
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ওই যুবকের পিতাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা কুড়ের পাড় গ্রামে রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বায়েজিদ মিয়া (২৩) উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা কুড়ের পাড় গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
এই ঘটনায় আক্রান্ত নারীর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে বর্তমানে জেলার বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অগ্নিদগ্ধ ২০ বছর বয়সী ঐ নারীর পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ৭ মাস পূর্বে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয় কুলিয়ারচর পৌরসভা তাতারকান্দি এলাকায়। বিয়ের পর থেকে বায়েজিদ বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ওই নারী বিষয়েটি তার শ্বশুরকে জানায়। পরে একদিন বখাটে বায়েজিদ বাড়ির আঙিনায় আসলে তাকে মারধর করেন ওই নারীর শ্বশুর। এতে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন বায়েজিদ। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল হত্যার হুমকি দিতে থাকেন তাকে।
সর্বশেষ রোরবার রাত আটটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বায়েজিদ ও তার আরেক সহযোগী পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন আক্রান্ত নারীকে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বায়েজিদ মিয়া পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পিতা নুর ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নিয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।