বাবুল ও রাশেদুল আলম রিসাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের বিচার চাওয়ায় কিশোর দল কর্তৃক কৃষক হত্যার প্রধান দুই আসামি বাবুল ও রাশেদুল আলম রিসাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা থেকে বাবুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে রাশেদুল আলম রিসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার বিকেল ৫ টায় কুলিয়ারচর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় আহত হন কুলিয়ারচর উপজেলার বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম। উপজেলার রামদী ইউনিয়নে মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের ওই শিক্ষিকাকে দেখতে আসে ওই বিদ্যালয়ের চার ছাত্র-ছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ওই ছাত্রীদের অশালীন কথাবার্তা বলেন ওই গ্রামের বাবুল, রাশেদুল আলম রিসাদ, পারভেজসহ কয়েকজন কিশোর। এ ঘটনা শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষিকা হাসিনা বেগমকে জানায়। হাসিনা বেগম বিষয়টি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে বলেন। আনিছা বেগম বিষয়টি নিয়ে রিশাদের বাবা আলমের কাছে বিচার দেন। আলম তার ছেলে রিশাদকে শাসন করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত আসামিরা গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আনিছা বেগমের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আনিছার স্বামী আবু বাক্কার (৬০) এশার নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে কী হয়েছে জানতে চান। তখন আসামিরা আবু বক্কারকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারলে আবু বক্কর ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে নিহতের ছেলে ডা. বায়েজিদ বাদি হয়ে কুলিয়ারচর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাশ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা থেকে বাবুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে রাশেদুল আলম রিসাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর দুই আসামি পারভেজ ও আলম মিয়াকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এসপি।