ফাইল ফটো
টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে ‘হিমালয়কন্যা’ খ্যাত জেলা পঞ্চগড়ে। ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমেছে তাপমাত্রা। হাড়-কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের এই জনপদ।
শীতের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষেরা। শীত নিবারনে নেই পর্যাপ্ত গরম-কাপড় ও কম্বল। আবার বাইরে কাজের জন্য বের হওয়া যাচ্ছে না। এতে দুর্দশায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়ের পথঘাট প্রকৃতি ও জনপদও সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় ৯.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছিল। গেল ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় চার দিন ধরেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৬ দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল
স্থানীয়রা বলছেন, দিন-রাত দুই রকম তাপমাত্রা অনুভব হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতে হাড় কাঁপতে থাকে। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসছে এমন মনে হয়। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, অনেক বেলা হওয়ার পর সূর্য উঠেছে; আবার কুয়াশাও ঝরছে। বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরছে। কৃষকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই কাজে মাঠে নেমেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই শীতের মাত্রা আরও তীব্র হচ্ছে। সারাদিনই পরতে হচ্ছে গরম-কাপড়। তবুও শীত লাগছে।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।
একজন বলেন, অনেক বেলা পর্যন্ত প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে।
দিনের বেলা তাপমাত্রা কোনোভাবে সহ্য করা গেলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা সহ্য করা যায় না। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
বাংলাবার্তা/এমআর