
সংগৃহীত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এসএস পাওয়ার প্লান্টে পাইপে লিকেজ থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার রাতে পাইপে লিকেজ হাওয়ায় ১ মিনিটের ভিডিও ভাইরাল হয়।
এসএস পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে ফ্লাইএশ সরবরাহ করার সময় এশ সাইলোর একটি পরিদর্শন দরজা খুলে যাওয়ার ফলে কিছু এশ বাইরে নির্গত হয়; যা কোনো ধোঁয়া বা বিষাক্ত কিছু নয়। পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে এশ নির্গমন বন্ধ করেন। এরপর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। এক মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালের বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হলে মূল বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীকে জানান পাওয়ার প্লান কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মী ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, আমি শুরু থেকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে ছিলাম। যেহেতু এটি নির্মাণের পর উৎপাদনে রয়েছে এবং দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে এবং এই বিদ্যুৎ দেশের উৎপাদনে ও জনগণের সেবায় ব্যবহার হচ্ছে; তাই আমরা চাই যতদ্রুত সম্ভব ফ্লাই এশ ও কার্বন নির্গমন শূন্যের কোটায় নামিয়ে উৎপাদন চালু রাখতে হবে। যেন জনগণ ও পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতি না হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, পাইপে লিকেজ থেকে বের হওয়া বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে ওই এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। এসএস পাওয়ার প্লান্টের শুরু থেকেই তাদের ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে পরিবেশ ও এলাকার মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছে তাদের উচিত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ওই প্রকল্পের ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা। প্রকল্পের পূর্বের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার লিমিটেডের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়জুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে ফ্লাই এশ সরবরাহ করার সময় এশ সাইলোর একটি পরিদর্শন দরজা খুলে যাওয়ার ফলে কিছু এশ বাইরে নির্গত হয়; যা কোনো প্রকারের ধোঁয়া বা বিষাক্ত কিছু নয়। কর্তৃপক্ষ ১০ মিনিটের মধ্যে এশ নির্গমন বন্ধ করে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ