
সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি এলাকায় একটি বহুতল ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন 'আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি' (এআরএসএ)-এর সদস্যরা। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী, যিনি আত্মপরিচয় দেন একজন ট্রলার ব্যবসায়ী, তিনি তার সহযোগীদের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে ওই ভবনের ৩য় এবং ৮ম তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীরা নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য আসা একজন অসুস্থ ট্রলার ব্যবসায়ী হিসেবে। তারা প্রথমে ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন, পরে বাসাটি ছোট হওয়ায় ৮ তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন ২০ হাজার টাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের মধ্যে তেমন কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেননি, তবে তারা খুব কমই অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং সাধারণত নামাজের জন্য মসজিদে যেতেন।
তবে, সম্প্রতি র্যাব-১১ তাদের গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ধারালো চাকু এবং একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, ময়মনসিংহের নতুন বাজার এলাকা থেকেও এআরএসএ'র আরও ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল নাশকতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, যার জন্য তারা গোপনে বৈঠক করছিলেন।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ